গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা দিলেন: গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম
রনি আহম্মেদ:
মঙ্গলবার বঙ্গতাজ অডিটোরিয়মে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা অনুষ্ঠানে গাসিক মেয়র মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন,গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় রাস্তাঘাট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হবে। তাদের বাসা বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে।কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তাদের নামে হবে।মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের চাকরি ও ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন,আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আইডি কার্ড ও সার্টিফিকেট দেয়া হবে ।তিনি আরও বলেন,মার্চের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।আগামী বছর বিজয়ের ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন কিছু উপহার থাকবে,যাতে তারা সম্মানিত বোধ করেন।‘মুক্তিযোদ্ধা আইডি কার্ডে আট ধরনের বারকোড ও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।যাতে কেউ জালিয়াতি করতে না পারে।সরকার এরআগামী বছর বিজয়ের ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন কিছু উপহার থাকবে, যাতে তারা সম্মানিত বোধ করেন।এর ই মধ্যে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা শতভাগ নিশ্চিত করেছে।তিনি আরও বলেন,অতীতের সরকারগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে কিছু করেনি। বিভিন্ন জায়গায় থাকা বদ্ধভূমি এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলো আমরা সংরক্ষণ করছি।মুক্তিযোদ্ধাদের কবর যাতে একই ডিজাইনের হয় এবং শত বছর পরও যেকেউ দেখলে যেন বলতে পারে এটি একটি মুক্তিযোদ্ধার কবর, সে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সামসুন্নাহার,সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মেজাম্মেল হক,গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম,গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুস সাত্তার মিয়া,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ নয়ন প্রমুখ।